
শ্বেতদ্রোণ। ছবি: সঞ্জয় সরকার
সবুজ এই বীরুৎ জাতীয় বহুবর্ষজীবী গাছটি একহাত পরিমাণ লম্বা হয়ে থাকে। গাছের ডগায় ও ডালের শীর্ষভাগে চক্রাকারে সাদা ফুল ফুটতে দেখা যায়। ফুল দেখতে অনেকটা ফানেলের মতো, অবৃন্তক। কমবেশি সারাবছরই এই গাছে ফুল ফোটে। সাধারণত রাস্তার ধারে ও বুনো পরিবেশে শ্বেতদ্রোণ দেখা যায়।
একে দণ্ডকলস, ধুলফি, দুলফি, কানশিশা, ধুরপ শাকসহ নানা নামে ডাকা হয়। পুরোপুরি সবুজ এই বীরুৎ জাতীয় বহুবর্ষজীবী গাছটি একহাত পরিমাণ লম্বা হয়ে থাকে। গাছের ডগায় ও ডালের শীর্ষভাগে চক্রাকারে সাদা ফুল ফুটতে দেখা যায়। ফুল দেখতে অনেকটা ফানেলের মতো, অবৃন্তক।
কমবেশি সারাবছরই এই গাছে ফুল ফোটে। পাতা লম্বাটে, সম্মুখভাগ চিকন ও খাঁজকাটা। কাণ্ড অনেক গিঁটযুক্ত। প্রতিটি গিঁট থেকে দুটি করে পাতা বের হয়। গাছ হালকা ও ভঙ্গুর। যেহেতু ফুলে মধু আছে তাই সকালে ফুল ফোটার পরপরই এই ফুলে নানা ধরনের পিঁপড়ার আনাগোনা দেখা যায়। ফুল মুখে নিয়ে স্ট্র-এর মতো টানলে মধুর মিষ্ট স্বাদ অনুভূত হয়।
পাহাড়ি ও সিলেটের চাবাগানের আশেপাশে মানুষজন একে শাক বেশি অধিক ব্যবহার করে থাকে। সমতল ভূমির অনেকের মধ্যেও শ্বেতদ্রোণের কচি কাণ্ড ও পাতা শাক হিসেবে খাওয়ার প্রচলন আছে। সিলেট এলাকায় বাঙালি হিন্দুদের শ্যামাপূজায় ‘আটতিতা’ নামক নানান শাক খাওয়ার পর্বে এই শাক খাওয়া হয়ে থাকে।
ঝোপঝাড়ের পাশাপাশি রবিশস্য ক্ষেতে এই গাছ আগাছা হিসেবে জন্মে থাকে। ভেষজ চিকিৎসায় কাণ্ড ও পাতা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বাত, সর্দি-কাশি, পেট ফাঁপা, বদ হজম, বিছার কামড়ে, রক্ষপাত বন্ধে ও মেয়েদের মাসিকের সময় অধিক রক্তপাত এড়াতে এই গাছ বেশ উপকারী। এর ইংরেজি নাম Wite Verticilla এবং বৈজ্ঞানিক নাম Leucus apera.
ছবি ও লেখা : সঞ্জয় সরকার